রাতের আকাশ ভারি অদ্ভুত ।
অঙ্কিত রোজএকটা তারা কে লক্ষ্য করে । তারাটা অন্য সব তারাদের থেকে কিছুটা আলাদা মনে হয় অঙ্কিতের ।পরিবেশ পরিস্থিতির ঊর্ধে গিয়ে তারাটাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবে ,ভালোবাসে।
রাত গভীর।
অঙ্কিত বারান্দায় দাঁড়িয়ে তারা দেখছে ।তারাটার নাম দিয়েছে ইভা। অঙ্কিত কল্পনার পালে জমেছে রুপালি চাঁদের আলো ।তিরতির করে এগিয়ে যাওয়া নৌকাটা হঠাৎ ঠোক্কর খেল নদীর বাঁক ঘুরতে।
নদীর বাঁকটা জমাটি নিশ্চিদ্র অন্ধকারে থিক থিক করছে। সেই নিকষ আঁধারে পৈশাচিক উল্লাস দাপাদাপি করছে নির্ভয়ে ।চেনা পরিচিত এক ভয় ঘিরে ধরল অঙ্কিতকে ।ইভাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করল কিন্তু পলকের মধ্যে সে কোথায় হারিয়ে গেল ।অঙ্কিত দেখল অসীম আকাশের সব তারা নিভে গিয়েছে কেবল ইভা খসে পড়ছে ধীর পায়ে। তারাটা গলি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য আলোতে ভাগ হয়ে গেল। ইলেকট্রিক বিহীন গলিতে মোমবাতি হেঁটে গেল দ্রুত পায়ে।
অঙ্কিত নিজেকে ঘৃণা করতে লাগল ।কেন পারল না ইভাকে ধরে রাখতে?ইভাকে হারিয়ে ফেলল সে! দুদন্ড -র শান্তি এবার সে কার কাছে চাইবে?
অন্ধকারের মধ্যে থেকে অঙ্কিত বেরিয়ে এলো মোমবাতি হাতে। অদৃশ্য ইভার ছায়া মূর্তির হাত চেপে ধরে উচ্চস্বরে বলল -”ভক্ষক নয় রক্ষক হব।”