শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বানী

 ১.”নিজের কর্তব্য করার আগে পরের কর্তব্য আলোচনা করলে পাপ হয়।”


২.”যদি দেশের কোন কাজ থাকে ত ইতর- সাধারণের ছেলেদের শিক্ষা দেওয়া ।শিক্ষা না দিয়ে আর যাই করি না কেন, নিছক পন্ডশ্রম। লেখাপড়া শিখিয়ে দাও, তখন আপনার ভাবনা তারা আপনি ভাববে। ইঞ্জিনে স্টিম হলে তবে গাড়ি চলে নইলে এত বড় জড় পদার্থটাকে জন কতেক ভদ্রলোক মিলে গায়ের জোরে ঠেলাঠেলি করেও একচুলও নড়াতে পারবে না।”

৩.”মিথ্যে কে ঘাঁটাঘাঁটি করে জাগিয়ে তুললেই তার পরমায়ু বেড়ে ওঠে ।নিজের অসহিষ্ণুতায় তার আয়ু বাড়িয়ে তোলার মতো পাপ অল্পই আছে।”

৪.”আগুন জ্বলে উঠে শুধু শুধু নেবে না ,তাকে জোর করে নেবালেও সে আশেপাশের জিনিস তাতিয়ে দিয়ে যায়।”

৫.”গোড়ার অনেকগুলো ছোট বড় সিঁড়ি উত্তীর্ণ হবার ধৈর্য থাকা চাই।”

৬.”জাত আর ধর্ম এক জিনিস নয়। একটা দেশাচার, লোকাচার ,শুদ্ধমাত্র কালের বস্তু। কিন্তু অপরটা ইহকাল, পরকাল দুই কালেরই বস্তু”।




৭.”ধর্মের যেটা গোড়ার কথা, সেটা পরকালের কথা ,মরণই শেষ নয়”।

৮.”যে মেলা সবচেয়ে বড় মেলা, যার কাছে যেতে পারলে আর কারো কাছে যেতে ইচ্ছে হবে না ,অথচ সমস্ত রকমের মিলনের ইচ্ছাই আপনা আপনি পরিপূর্ণ, সার্থক হয়ে যাবে ,সেই মিলনের কামনা করো”।

৯.”অতৃপ্ত বাসনাই মহৎ প্রেমের প্রাণ ,এর দ্বারাই সে অমরত্ব লাভ করে যুগে যুগে কত কাব্য ,কত মধু, কত অমূল্য অশ্রু সঞ্চিত করে রেখে যায়, যখন নিঃসংশয়ে উপলব্ধি হবে, কেন রাধার শতবর্ষব্যাপী বিরহ বৈষ্ণবের প্রাণ ,কেন সে প্রেম মিলনের অভাবেই সুসম্পূর্ণ ,ব্যথাতেই মধুর।”

১০.”সংসারে ভালোবাসাকে মহামহিমান্বিত করবার জন্য বিচ্ছেদ শুধু তোমার মতো অতুল ঐশ্বর্যশালিনী দাঁড়িয়ে এসেই চিরদিন হাত পেতেছে, সে অল্পপ্রাণ ক্ষুদ্র প্রেমের কুটিরে অবজ্ঞায় যায়নি।”

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!